🚚প্রডাক্ট কনফার্ম করার ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশে পন্য ডেলিভারি দেওয়া হয়।🛍️🏬 এছাড়া আমাদের শোরুমে এসে প্রোডাক্ট নিলে পাচ্ছেন স্পেশাল ডিস্কাউন্ট।💐

ছোট গল্প

 

 

                               শিয়াল ও বানর
ultra10earnএর নিজস্ব লেখক-মোঃ-আশিকুজ্জামান

নদীর ধারে এক জঙ্গলে বাস করত এক শিয়াল ও এক বানর । তাদের মধ্যে ছিল খুবই বন্ধুত্ব । এক দিন কয়েক জন জেলে সেই নদীতে মাছ ধরতে আসে এবং জেলেরা মাছ ধরতে শুরু করে । মাছ ধরা শেষে মাছের ঝুড়িটা নদীর ধারে রেখে জেলেরা একটু দুরে খেতে যায় । এই ফাকে
শেয়াল ও বানর দুজনে বুদ্ধি করে । শেয়াল বানরকে বলে তুমি জালটা নিয়ে নদীতে মাছ ধর । আর আমি দেখি জেলেরা ঝুড়িতে কি রেখে গেছে তা দেখি । বোকা বানর জালটা নদীতে ফেলতে গিয়ে নিজেই জালে জড়িয়ে নদীতে হাবুডুবু খেতে লাগলো । এতে বানরটি নিজেই বুঝতে পারলো কোন কাজ না পারলে তা কত কষ্টকর । এক সময় বানরটা নদীর মধ্যে তার শেষ নিঃশাস টুকু ত্যাগ করলো । আর এদিকে শেয়াল পন্ডিত মনের আনন্দে মাছ খেতে লাগলো ।
                  সমাপ্ত

 

বোকা  বাঘ  ও  ছাগলের  গল্প
ultra10earnএর নিজস্ব লেখক-মোঃ-আশিকুজ্জামান
একদিন একটি ছাগল বনের ভিতর ঘাস পাতা খাচ্ছিলো । ঠিক  তার একটু পাশ দিয়ে একটি বাঘ হেটে যাচ্ছিলো । বাঘটা  ছাগলটাকে দেখেতেয় তার জিহব্বায় পানি এসে গেলো । এরপর  বাঘটা
ছাগলটাকে আক্রমন করলো এবং কিছুক্ষন দৌড়ানোর পর  ছাগলটাকে ধরে ফেললো । কিন্তু  ঠিক  ঐ সময়  ছাগলের  মাথায়  একটি বুদ্ধি আসলো । সে বাঘকে বললো যদি তুমি আমাকে একটু  দয়া কর তাহলে আমি তোমাকে উপকার করতে পারি । বাঘ  বললো কি উপকার । ছাগল তাকে বললো এই বনের ভিতর তুমিই  একমাত্র রাজা কিন্তু আমি দেখলাম যে বনের উত্তর পাশে  আরেকটি বাঘ এসে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সে আমাকে একবার  আক্রমনও করেছিলো । বাঘ বললো চলোতো দেখি কোথাকার  কোন সদ্দার আমার এলাকায় প্রবেশ করলো । ছাগলটা তাকে  নিয়ে যেতে যেতে একটা নদীর কিনারায় নিয়ে গেল এবং পানির  নিচে তাকাতে বললো । বোকা বাঘ পানির নিচে নিজের প্রতিচ্ছবি  দেখে তাকে তার শত্রু ভেবে তার উপর লাফিয়ে পড়লো । এরপর  নিজেই নদীর পানিতে হাবুডুবু খেয়ে মরতে লাগলো । আর এদিকে  ছাগল আবার মনের আনন্দে বনের মধ্যে ঘাস পাতা খেয়ে বসবাস  করতে লাগলো ।
সমাপ্ত

 

 

যেমন রোগ তেমন ডাক্তার
ultra10earnএর নিজস্ব লেখক-মোঃ-আশিকুজ্জামান

অনেক দিন আগের কথা । একটি দেশে এক রাজকুমারের আজব  এক ধরনের অসুখ হয় । রাজকুমার কিছুই খায় না । না খেয়ে না খেয়ে শরীর একদম শুকিয়ে যেতে লাগলো । আর সে শুধু চিল্লাতে  লাগলো । রাজকুমার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান । তার অসুখে  তার বাবা মা একদম ভেঙ্গে পড়ে । এবং রাজা সারা শহরে জানিয়ে  দিল যে যদি কেউ তার পুত্রের এই রোগ সেরে দিতে পারে তাহলে  তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে । এই কথা শুনে অনেক ডাক্তার  কবিরাজ আসলেন কিন্তু কেউ এই রোগের সমাধান করতে  পারলো না । অবশেষে এক বৃদ্ধ লোক সেই রাজ্যে প্রবেশ করলেন । তিনি রাজাকে বললেন যদি তার ছেলের জন্য কোন রাজ কন্যা  এনে চিকিৎসা করা হয় তাহলে তার ছেলের রোগ সেরে যাবে । এই  কথা শুনে রাজা সেই রাজ্যের সব রাজ কন্যাকে দাওয়াত দিলেন । এরপর রাজকন্যারা সেই রাজ্যে প্রবেশ করলেন । রাজকন্যা দের  মধ্য থেকে এমন একজন অপূব সুন্দরী রাজকন্যাকে রাজকুমার  দেখলেন যে এতে রাজকুমারের রোগ একদম সেরে গেলো । এরপর  রাজা খুব খুশি হলেন এবং রাজকন্যার সাথে রাজা তার পূত্রের  বিবাহের প্রস্তাব পাঠান । এরপর রাজকন্যার বাবা মা রাজি হয়ে তাদের মাঝে বিবাহ সম্পন্য করেন । এরপরে রাজপূত্র এবং  রাজকন্যা সুখে শান্তিতে তাদের  নতুন  জীবন  শুরু করেন ।
সমাপ্ত

 

 

 হায়েনা” — (একটি ছোট গল্প)

লেখক : নিজাম কুতুবী 
 
একবার একটি হায়েনার ইচ্ছে হয়েছিল মানুষের সঙ্গে বসবাস করতে। হায়েনাটি মানুষের মত করে মানুষের রূপে মানুষের শহরে বসবাস পাততে চেয়েছিল। হায়েনাটি সেই উদ্দেশ্যে পাতাল পুরি থেকে হাজার মাইল পথ-ঘাট-নদী মাঠ পেরিয়ে হাজির হলো একটি মানুষের শহরে।
এই শহরে এসে সে দেখতে পেলো, কিছু মানুষ একজন মানুষের পদার্পনের অপেক্ষা করছে। লোকটির আগমনের বার্তায় ফুলের পাঁপড়ি ছিটাচ্ছে তার পদপ্রান্তে। ঠিক এমুহুর্তে হাজির হলো একটি লাল মোটর কার। চারদিক থেকে চারজন ছুটে এসে দরজা খুলে দিল। লাল মোট গাড়ি থেকে বের হলো লাল পোশাকে আচ্ছাদিত একটা লাল মানুষ। হায়েনাটির মনে হলো, মানুষটির পরনে কোন কাপড় নেই। তার কোন হৃদয়ও নেই। হয়ত মানুষটি কোন দিন সূর্যের আলো দেখেনি। জোøারাতও তার নজর কাড়েনি। চাঁদের আলোয় ভেজেনি তার শরীর। মানুষটি হেঁটে হেঁটে একটি বিরাট অট্টালিকায় প্রবেশ করলো যা আকাশ ছুঁয়েছে। মানুষটা একটা উঁচু আসনে বসলো যা মানুষের হাড় আর খুলি দিয়ে তৈরী।
আরো একটু পরে হায়েনাটি একটা রোমহর্ষক দৃশ্য দেখল। অট্টালিকার ভেতর একটা খুঁটিতে একজন মানুষ বাঁধা আর পাশেই রাম-দা হাতে দাঁড়িয়ে আছে আর একটা মানুষ। মানুষটা রাম-দার এক কোঁপে বাঁধা লোকটার একটা হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলল। আকাশ বাতাস কেঁপে উঠলো তার আর্তচিৎকারে। কাটা হাতের দিকে তাকিয়ে লাল মানুষটা তা কামড়াতে শুরু করল। হায়েনাটি ভয়ার্ত চোখে দৃশ্যটি দেখে নিজের মনে বলে উঠল, “আমার অনেকদিন মাংস খাওয়া হয়নি, আর এখানে মানুষ মানুষের মাংস খাচ্ছে…।”
হায়েনাটি অস্থির হয়ে ছুঁটতে লাগল। ছুঁটতে ছুঁটতে থমকে দাঁড়ালো মাঝপথে-কতগুলো মানুষ একজন লম্বা চুলের মানুষকে রাস্তা দিয়ে টেনে হিচঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। লম্বা চুলের মানুষটার বসন আলগা হয়ে পড়েছে। কালো পিচের রাস্তায় বয়ে গেছে রক্তের চোপ। লম্বা চুলের মানুষটার আর্তনাদ ঢেকে গেলো মানুষগুলোর আদিম উল্লাসে। হায়েনাটির প্রাণ হাঁসহাঁস করতে লাগল। সে প্রাণপণে ছুঁটতে লাগল। তার চোখে বিস্ময় ও প্রশ্নের চিহ্ন। শহরের শেষ প্রান্তে এসে হায়েনাটি নিজের দাঁত দিয়ে মাটি খুঁড়তে লাগল। এবং একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, “আমার স্বজাতি অনেক উত্তম ছিল। এসব দানব মানুষদের র্কীতিকলাপ দেখে বেঁচে থাকতে লজ্জা হচ্ছে…। তাই কবর খুঁড়ছি।”
সমাপ্ত